বন্যায় ভাসছে রৌমারী ও রাজিবপুর
কুড়িগ্রামের
রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অরো অবনতি হওয়ায় দুই
উপজেলার এক লাখ পঞ্চশ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের শুকনা খাবাব ও
পশু খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়ন কেন্দ্র না
থাকায় পানিবন্দি মানুষ বিভিন্ন বেঁড়ি বাঁধে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে, খোলা
আকাশের নিচে বসবাস করছেন। দুই উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আজ
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী,
বন্দবেড়, যাদুরচর ও রৌমারী সদর ইউনিনের ২শ’টি গ্রামের এক লাখ মানুষ ও
রাজিবপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের পঞ্চশ হাজার মানুষ পানিবন্দি
হয়ে পড়ে। তারা রান্না করে খাবার খেতে না পাড়ায় শুকনা খাবারের জন্য হাহাকার
অবস্থায় পড়েছে। এছাড়া গবাদী পশুর খাদ্য না থাকায় চরম সংকটে পড়েছে
পরিবারগুলো।
বন্যায় ভাসছে রৌমারী ও রাজিবপুর
দ্বিতীয় বারের মত বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে দু’উপজেলার প্রায় পঞ্চশটি গ্রাম। নদী ভাঙ্গনে ¶তিগ্রস্ত ও পানিবন্দি পরিবারগুলো সরকারি ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় তাদের দু’চোখে হ্যতাশা ছাপ দেখা গেছে।
দ্বিতীয় বারের মত বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে দু’উপজেলার প্রায় পঞ্চশটি গ্রাম। নদী ভাঙ্গনে ¶তিগ্রস্ত ও পানিবন্দি পরিবারগুলো সরকারি ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় তাদের দু’চোখে হ্যতাশা ছাপ দেখা গেছে।
পানি
উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী
পয়েন্টে ৫০ সে. মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯১ সে.মি. উপর প্রবাহিত
হচ্ছে।
রৌমারী
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, উপজেলার
বেঁড়িবাধগুলো রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা
অনুযায়ী বরাদ্দ না থাকায় পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সরবারহ করা সম্ভব
হচ্ছে না।
ইত্তেফাক থেকে নেওয়া
No comments